ধর্ষণ থেকে ‘বাঁচিয়ে’ গণধর্ষণ!

মুঠোফোনে মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে প্রেম। সেই সুবাদে দেখা করতে গেলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রেমিক। এ ঘটনা দেখতে পেয়ে প্রেমিককে শাসিয়ে তাড়িয়ে দেয় পাড়ার প্রেমিকের ফুফাত দুই ভাই। এরপর সেই বড় দুই ভাই মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মাদ্রাসাছাত্রীকে।

গত ১০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার প্রভাকরদি এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ তুলে নির্যাতিতা মাদ্রাসাছাত্রীর মা মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে আড়াইহাজার থানায় বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেন তিনি। পরে পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে পাঠিয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী মধ্যপাড়া এলাকার মোতালিবের ছেলে টিউবওয়েল মিস্ত্রী নজরুল ইসলাম (২৫) ও তার দুই ফুফাতো ভাই আবুল হোসেনের ছেলে রিকশাচালক বাদল (৩৭) ও টিউবওয়েল মিস্ত্রী মুছা (২৪)।

মামলায় ধর্ষিতা মাদ্রাসাছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকেই লেখাপড়া করে। মোবারক নামে এক ব্যক্তি ফোন করে তাকে জানান তার মেয়ে এক ছেলের সাথে প্রেম করে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নজরুল তার মেয়েকে মোবাইল ফোনে ডেকে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি দেখে তার মামাতো ভাই বাদল ও মুছা তাকে শাসিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে তার মেয়েকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে একই স্থানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে তার মেয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। পরে তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আসামি করে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন